ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়


আজ মানুষ মাত্রই সুন্দর ত্বক আর সুন্দরের পূজারী। আর সে কারণেই মানুষ রূপচর্চার লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম বড় সম্পদ হলো তার ত্বক।আসলে সুস্থ ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রয়োজন সঠিক যত্ন, বর্তমান সময়ের প্রকৃতিক দূষণ ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস,মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব এবংকেমিক্যাল জাত প্রসাধনের ব্যবহারের কারণে ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।

ত্বকের-উজ্জ্বলতা-বৃদ্ধির-ঘরোয়া-উপায়


সুস্থ উজ্জ্বল ও দাগহীন  ত্বক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না বরং শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রতিফলন ও ঘটায় না।সুন্দর ত্বক ও সুন্দর রূপ অর্জনে ঘরোয়া উপায় গুলো যথেষ্ট কার্যকর।দেশি-বিদেশি কৃত্রিম উপায়ে তৈরি কসমেটিক যেমন ত্বকের জন্য ক্ষতিকর তেমনি অর্থনৈতিক ক্ষতি।তাই আমাদের সকলের উচিত উভয় ক্ষতি হতে সাবধানতা অবলম্বন করা।

 পোস্ট সূচিপত্রঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় 

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় ঃ

নাগরিক জীবনের ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখা যেন এক কঠিন কাজ।কারন আমাদের আবহাওয়া ও অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় সূর্যের সূর্যের,রশ্মি ধুলাবালি,ত্বক হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ, শুষ্ক ও কালচে।বাজারে নানা ধরনের ক্রিম ও কসমেটিকের রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত থাকায় ত্বকের সবচেয়ে ক্ষতির মূল কারণ। তাই প্রকৃত ও স্থায়ী সৌন্দর্যের জন্য ঘরোয়া উপায় সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর সমাধান।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পর্যাপ্ত ঘুম ও পানি।৮ গ্লাস পানি পান করলে ত্বককে আদ্র রাখে ও টক্সিন বের করে দেয়।নিয়মিত রাতে ৮ ঘন্টা ঘুম ত্বকের কোষ পুর্নগঠনে সাহায্য করে ফলে মুখে সতেজতা ফিরে আসে।প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এলোভেরা জেল লাগালে তখন মসৃণ ও দীপ্তমান।

সর্বশেষে বলা যায় ত্বক উজ্জ্বল রাখতে কোনো জাদুর প্রয়োজন নেই প্রয়োজন শুধু একটা কার্যকারী প্লান,ঘুম স্বাস্থ্যকর খাবার।প্রাকৃতিক সহজ উপাদান গুলো কাজে লাগানোর দ্বারা ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করে খুব কম সময়ে আপনি ফিরে পাবেন উজ্জ্বল মসৃণ ও সুস্থ স্বাভাবিক সৌন্দর্য।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির  উপায়ঃশসা

শসার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকের কালচে ভাব হালকা করে প্রাকৃতিকভাবে গ্লো আনে। বার্ধক্য রোধ করে।চোখের নিচে শসার টুকরা রাখলে ডার্ক সার্কেল ফোলা ভাব কমে যায়।শসার  ৯৫% পানি থাকে যা ত্বককে সাথে সাথে ঠান্ডা ও সতেজ অনুভূতি দেয়। শসার ভিটামিন k রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ত্বকের ভিতর থেকে হাইড্রেট রাখে।শসায় থাকা সিলিকা ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় ফলে বয়সের ছাপ দেরিতে আসে।ত্বকের রুক্ষতা ও জ্বালাপোড়া দূর করে। খসখসে ভাব কমায় এবং সানবার্ন বা অ্যালার্জির পর ত্বককে শান্ত করে।

ব্যবহার পদ্ধতি 

  • শসার টুকরোঃ শসার টুকরো চোখের নিচে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন ডার্ক সার্কেল ও ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করবে।
  • শসার রসঃশসার রস তুলায় ভিজিয়ে মুখে লাগান,টোনার হিসেবে কাজ করবে ।  
  • শসার ফেসপ্যাকঃ শসা রসের সাথে দই,মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়।
  • শসার পেস্টঃশসা ব্লেন্ড করে মুখে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ হবে।

সতর্কতাঃশসা সাধারণত সবার ত্বকের জন্য নিরাপদ, তবে ব্যবহারের আগে ছোট জায়গা টেস্ট করে নিন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা ব্যবহারঃলেবুর রস 

লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি ত্বকের দাগ,পিগমেন্টেশন ও ট্যান কমাতে সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল করে। যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত,লেবুর রস তাদের ত্বকের অতিরিক্ত তেল শূষে নিয়ে পরিষ্কার রাখতে পারে।এক্সফোলিয়েশন লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড মৃত কোষ দূর করে নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে,ফলে ত্বক মসৃণ হয়। এন্টি এজিং প্রভাব লেবুর ভিটামিন সি, কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, ফলে বলিরেখা ও বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বককে উজ্জ্বল ও ফ্রেশ দেখায়।লেবুর রসের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল  গুণ ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে।ব্রণ ও ব্রণে দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। 

ব্যবহার পদ্ধতি

  •  এক চামচ লেবুর রস নিন তুলার সাহায্যে মুখে আলতোভাবে লাগান।১০মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন 

সতর্কতাঃ লেবু সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালাপোড়া করতে পারে,তাই আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া উচিত।লেবুর রস ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হলে এর ব্যবহার করার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। 

আরো পড়ুনঃতিসির বীজের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত   

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির রেমিডিঃদই ও মধু 

দইয়ের প্রোবায়োটিক্স ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ ও লালচে ভাব কমাতে সহায়ক।ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে দাগ, ট্যান, কালচে ভাব হালকা হয়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় দই ও মধু বার্ধক্য কমায়।দইয়ে থাকা   ল্যাকটিক অ্যাসিড মৃত কোষ দূর করে ত্বকের নরম ও মসৃণ করে।দই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।এ দুটি মিশ্রণ প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক হিসেবে কাজ করে।মধু নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে গ্লো করে।মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাগ হালকা করে ত্বক উজ্জ্বল করে।

ব্যবহার পদ্ধতি 

  • দুই চামচ টক দইয়ের সাথে এক চামচ মধু মেশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

ত্বকের উজ্জলতায় টমেটোর ব্যবহার

টমেটোর লাইকোপেন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,যা বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দেরিতে আনে।ত্বকের রুক্ষতা দূর করে। টমেটোর এসিড মৃত কোষ দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।টমেটো তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুব ভালো।এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ব্রণ প্রতিরোধ করে।ব্রণ দাগ কমায়। টমেটোর ভিটামিন সি ত্বকের মলিন ভাব ও কালচে দাগ দূর করে প্রাকৃতিক গ্লো আনে।

ব্যবহার পদ্ধতি 

  • টমেটোর  টুকরো সরাসরি মুখে ঘষে দশ মিনিট রেখে, ধুয়ে ফেলুন এতে ত্বক ফ্রেশ হবে।টমেটোর রস তুলো দিয়ে মুখে লাগান প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে।  

ফেসপ্যাকঃ

  • টমেটো রস ও মধু পেষ্ট শুষ্ক ত্বকের জন্য।
  • টমেটোর রস ও লেবুর রসের ফেসপ্যাক দাগ ছোপ কমানোর জন্য। 

সতর্কতা 

টমেটো অ্যাসিডিক হওয়ায় সংবেদনশীল ত্বক জ্বালা করতে পারে। সব সময় ব্যবহার করার আগে ছোট জায়গায় টেস্ট করা ভালো।সূর্যের আলোতে বের হওয়ার আগে টমেটো লাগানো ঠিক না উত্তম।রাতে ব্যবহার করা উত্তম। 

ত্বকের উজ্জ্বলতায় নারিকেল তেল ব্যবহার

নারিকেল তেল প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার, শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বককে গভীরভাবে আদ্র করে নরম ও মসৃণ রাখে। এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল গুণ ত্বকের জীবাণু প্রতিরোধ করে।হালকা ব্রণ ও প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। নারিকেল তেলে থাকা ভিটামিন ই কালচে দাগ-ছোপ,কালচে দাগ ও পিগমেন্টেশন কমাতে সহায়তা করে। বয়সের ছাপ কমায়।সূর্যের তাপে পড়ার ত্বক ঠান্ডা করে এবং আরাম দেয়।

ত্বকের-উজ্জ্বলতা-বৃদ্ধির-ঘরোয়া-উপায়


ব্যবহার পদ্ধতি 

  • মশ্চারাইজার হিসেবে রাতে মুখে ওলে অল্প নারিকেল তেল লাগান।
  • লিপ বাম হিসেবে -ঠোঁটে লাগান ঠোঁট নরম ও ফাটা কমে নারিকেলি তেল +মধু + দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগানো যায়।
  • গোসলের পর সারা শরীরে লাগালে ত্বক মসৃণ হয়। সতর্কতা 
  • যাদের তৈলাক্ত বা ব্রণ প্রবাহ ত্বক সরাসরি মুখে ব্যবহার করা ঠিক নয়,কারণ এটি পোরস বন্ধ করতে পারে। সব সময় অর্গানিক/ক্লোড-প্রোসেড নারিকেল তেল ব্যবহার করা উত্তম। 

ফেসপ্যাকঃহলুদ ও দুধের

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় হলুদ ও দুধের গুরুত্ব অনেক। হলুদের আন্টিঅক্সিডেন্টস ও দুধের প্রোটিন ত্বক টানটান রাখে বলিরেখা কমায়।হলুদের আন্টিব্যাকটেরিয়াল ও আন্টি-ইনফ্লেমেটরি গুন ব্রণ, ফুসকুড়ি ও প্রদাহ কমায়।দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মৃত কোষ দূর করে ত্বক ফর্সা ও মসৃণ করে।হলুদ ত্বকের কালচে দাগও ট্যান হালকা করে।ত্বক আর্দ্র রাখে বার্ধক্য রোধ করে।

ব্যবহার পদ্ধতি 

  • এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো,কাঁচা দুধে মিশে পেস্ট তৈরি  করুন। মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এটি ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে। সতর্কতা
  •  হলুদ অনেক সময় হালকা দাগ বা হলদে রেখে যেতে পারে তাই রাতে ব্যবহার করলে ভালো হয়।দুধে এলার্জি থাকলে ব্যবহার করবেন না।

 অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার

এলোভেরা একটি প্রাকৃতিক ভেষজ উদ্ভিদ,যার জেল ত্বক, চুল ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অসাধারণ উপকারী।হাজার বছর ধরে এটি সৌন্দর্য ও চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।অ্যালোভেরার পাতার ভেতরের স্বচ্ছ জেলেই আসল উপাদান যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন,খনিজ ও এনজাইম ভরপুর।মশ্চারাইজার ত্বককে আদ্র রাখে কিন্তু তৈলাক্ত করে না।  রোদে পোড়া কমাই- সূর্যের ক্ষতি ও পোড়া ভাব দ্রুত সরায়।এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুন ব্রণ প্রতিরোধ করে।রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ধুয়ে সামান্য অ্যালোভেরা জেল লাগান।

ফেসপ্যাকঃ

  •  অ্যালোভেরা জেল,মধু ও লেবুর রস পেষ্ট করে ব্যবহার করতে পারেন।

 সর্তকতাঃ

  • সরাসরি গাছ থেকে সংগ্রহ করা জেল ব্যবহার করলে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। কারো কারো ত্বকে এলার্জি হতে পারে।

বেসন ও গোলাপজল ব্যবহার

ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক সমাধানে বেসন ও গোলাপ জল এক অতুলনীয় ফেসপ্যাক।ত্বকের জন্য প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক ক্লিনজার ত্বকের ময়লা ও অতিরিক্ত তেল দূর করে।ত্বক আর্দ্র রাখে ও শুষ্কতা কমায়।লালচে ভাব, জ্বালা ও অ্যালার্জি দূর করে।

ফেসপ্যাকঃ

  • ২ টেবিল বেসন ২ টেবিল চামচ গোলাপ জল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগান শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।ত্বক উজ্জল ও পরিষ্কার হবে।রোদে পোড়া দাগ দূর হবে।

সতর্কতাঃ

  • সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করা উত্তম।
  • বেসন ও গোলাপজল মিশালে সবার ত্বকে মানিয়ে নাও নিতে পারে তাই আগে টেস্ট করুন।

লাল ডাল গুড়া স্ক্রাব 

লাল ডাল প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে।মৃত কোষ দূর করে ত্বক মসৃণ করে।ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়- রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে গ্লো আনে। ত্বককে টানটান রাখে ও বলিরেখা কমাতে সহায়তা করে।অতিরিক্ত তেল শোষণ করে ত্বককে ব্রণ মুক্ত রাখে।

ফেসপ্যাকঃ

  • দুই টেবিল চামচ ডালের গুড়ো দুধ বা পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান ও হালকা হাতে মেসেজ করে পাঁচ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য,ট্যান দূর করার জন্য এই প্যাক দারুন কার্যকরী।

সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা 

সরাসরি রোদে গেলে ত্বক-ট্যান হয়ে যায়।সূর্যের আলোতে থাকা ক্ষতিকর অতি বেগুনে রশ্মি ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর যা স্ক্রিনে অনেক ড্যামেজ করে দেয়।তাই বাহিরে যাওয়ার সময় অবশ্যই সানস্কিন,ছাতা এবং সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। ত্বক উজ্জ্বলতা বাড়াতে দিনে অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা জরুরি।পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং ত্বকের সতেজ রাখেন।

মানসিক চাপমুক্ত জীবন 

ত্বকের-উজ্জ্বলতা-বৃদ্ধির-ঘরোয়া-উপায়


ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় থাকলেও অতিরিক্ত মানসিক চাপ মানুষের শরীরের অনেক ক্ষতি করে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ত্বকের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয়। বয়সের আগেই চেহারায় বয়স্ক ছাপ পড়ে যায়।মানসিক চাপের কারনে রাতে ঠিকভাবে ঘুম হয় না যার ফলে চোখের নিচে রিংকেল দেখা দেয়।ঠিক মতো খাবার না খাওয়ার জন্য পুষ্টির অভাব দেখা দেয় শরীরে। মেডিটেশন বা গান শোনার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যায়।

হেলদি ডায়েট মেন্টেন করুন 

ত্বকের বৃদ্ধির জন্য সঠিক ডায়েটের বিকল্প নেই। প্রতিদিন অন্তত হলো সবজি খাওয়া অভ্যাস করে তুলুন। শাকসবজি গ্রহণ করার চেষ্টা করুন হেলদি ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চলুন।শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর মিনারেল ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সাহায্য করে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন মিনারেল সরবরাহ করে থাকে।এর ফলে তার তারুণ্য ধরে রাখতে পারে।এছাড়া প্রোটিনযুক্ত খাবার গাজর, চিয়া সিড,বাদাম,পনির,টক দই ত্বক ও শরীর উভয় ভালো রাখতে সাহায্য করে।তাই প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ত্বক পেতে এগুলো ডায়েটে যুক্ত করার চেষ্টা করুন।

লেখকের মন্তব্যঃত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় 

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় কোনো দামি কসমেটিক প্রয়োজন নেই।আমাদের ঘরোয়া উপাদান গুলো যথেষ্ট কার্যকর।লেবু,অ্যালোভেরা, দই,মধু,শশা টমেটো সহ প্রাকৃতিক উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া পানি পান,সুষম খাদ্য গ্রহণ, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপনেও ত্বকের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।প্রকৃতির এই  সহজ উপায় গুলো নিয়মিত চর্চা করলে খুব অল্প সময়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পাওয়া সম্ভব।

বাইরের খাবার তেল মশলা আমাদের হজম প্রক্রিয়া আপনি কার্যক্রম ঠিক না থাকলে তার খারাপ প্রভাব সরাসরি ত্বকে এসে পড়ে।তাই বাহিরের অসুস্থতার খাবার থেকে দূরে থাকুন।একই সাথে অতিরিক্ত চিনি যুক্ত মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে চিনি কোলাজেন ভেঙ্গে ফেলে,কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং খুব দ্রুত চেহারায় বয়সের ছাপ ফেলে দেয়।তাই ঘনঘন মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনুন।রাতের বেলা পর্যাপ্ত ঘুম শুধু ত্বক নয় বরং সম্পূর্ণ শরীরে ঘাটতি মিলাতে অত্যন্ত প্রয়োজন।তাই আমাদের সুস্থ ও সুন্দর দেখাইতে খারাপ অভ্যাস বর্জন করতে হবে।ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি বিকল্প নেই।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url